শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ):
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে শিমুলবাঁক ইউনিয়নের উকারগাঁও গ্রামে ‘উকারগাঁও মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ’-এর সদস্যদের মধ্যে দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরেজমিন ও সমিতির সদস্য সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে ১৪০২নং নিবন্ধনের মাধ্যমে ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট উকারগাঁও মৎস্যজীবি সমিতির যাত্রা শুরু হয়। দুই-তিন বছর চলার পর সমিতির সভাপতি মো: শাহীদ আলী কিছু সদস্যকে নিয়ে এক গ্রুপ ও সদস্য আজিম উদ্দিন কিছু সদস্যকে নিয়ে অন্য আরেক গ্রপ বিভক্ত হয়ে যায়। এই সুবাদে সভাপতি শাহীদ আলী ২০১৮ সাল পর্যন্ত একক কর্তৃত্ব বিস্তার করে আরও ৫ জন অমৎস্যজীবি লোককে সমিতির অর্ন্তভূক্ত করেন এবং আজিম উদ্দিন গ্রুপের ১৮ জন সদস্যকে সমিতির সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ইং তারিখে এক পক্ষের ১৮ জনকে বাদ দিয়ে সাজানো নির্বাচন দিয়ে পূনরায় শাহীদ আলী গংরা বিনাভোটে নির্বাচিত হন। ১৮ জন সদস্যের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচন হচ্ছে খবর পেয়ে সমিতির সদস্য কবির আহমদ বাদী হয়ে নির্বাচন স্থগিতের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর ২৯ অক্টোবর আবেদন করেন। এর আগে ১২ অক্টোবর ২০১৮ ইং তারিখে আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে স্বত্ত মামলা দায়ের করেন মামলা নং-৯০/২০১৮।
নিরুপায় হয়ে পূনরায় ১২ অক্টোবর সমিতির সদস্য চাঁন মিয়া বাদী শাহীদ আলী গংদের বিরুদ্ধে একই বিষয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই বিষয়ে এলাকায় বিচার সালিশে কোন কাজ হচ্ছে। কারও কথা তোয়াক্কা না করে একক আদিপত্য বিস্তার করে শাহীদ আলী গংরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন এবং উকারগাঁও মৎস্যজীবি সমিতির নামে গ্রামের পার্শবর্তী বড় লাঠিয়া জলমহাল উপজেলা থেকে ১৪২৫ থেকে ১৪২৭ সাল পর্যন্ত ইজারা পেয়ে সমিতির ১৮ জন সদস্যকে বাদ নিয়ে ১৪৪ দ্বারা ভঙ্গ করে উক্ত জলমহালে বাঁশ কাটা লাগিয়েছেন। এই জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে সমিতির দু’পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্খা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আজিম উদ্দিন গ্রুপের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি মো: ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।